কাজে ফিরেছেন খাতুনগঞ্জের শ্রমিকরা

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে দিয়ে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জ।

এর আগে খাতুনগঞ্জে মাসুদ মাঝি (৪৫) নামে এক পরিবহন শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায়  অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ মালামাল লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়ন। তবে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে সাময়িকভাবে কর্মবিরতি স্থগিত করেন শ্রমিকরা।  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তারা।

বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ মালামাল লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. কাসেম মাঝি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোনও কারণ ছাড়াই সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে মাসুদ মাঝিকে খুন করা হয়েছে। আমরা খাতুনগঞ্জে কর্মরত প্রায় চার হাজার শ্রমিক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিহত মাসুদ আমাদের সহকর্মী। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। তবে প্রশাসনের অনুরোধে আমরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেছি। বিকাল ৫টায় এ ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ হবে। এরপর আমরা বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাদের সহকর্মী মাসুদ মাঝিকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হোক। জড়িতদের গ্রেফতারে আমরা আন্দোলন করছি।’

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিক মাসুদ মাঝি (৪৫) মারা যান। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পণ্য ওঠানামা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা।’

মাসুদ মাঝি ভোলার দৌলতখান থানার চরখলিফা ইউনিয়নের বেলায়েত হোসেন বেপারির ছেলে। গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে ছুরিকাঘাত করেছিল দুর্বৃত্তরা।

বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ মালামাল লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক আবদুল কাদির বলেন, ‘সোমবার দুপুরে মাসুদের সঙ্গে তর্কে জড়ান রাসেল নামে এক পিকআপ ভ্যানচালক। পরে সন্ধ্যার দিকে রাসেলের নেতৃত্বে মাসুদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় রাসেলকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকরা।’

কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, ‌‘খাতুনগঞ্জে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’