রংপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

রংপুর নগরীর ধাপ আটিয়াটারি মহল্লায় এক লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রী সুলতানা পারভিনকে হত্যার অভিযোগে সোহেল রানা ওরফে শরিফুল নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুর পৌনে ১২টায় রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ১-এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালে রংপুর নগরীর ধাপ আটিয়াটারি এলাকার অহেদ আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে শরিফুলের সঙ্গে একই এলাকার সুজামিয়ার মেয়ে সুলতানা পারভিনের বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। দু বছর সংসারের পর সোহেল সুলতানার কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সুলতানার বাবা হতদরিদ্র হওয়ায় টাকা দিতে পাারবেন না জানালে তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো সোহেল। ২০১৭ সালের ২৮ জুন যৌতুকের দাবিতে আবারও মারধর করে স্বামী সে। পরে গভীর রাতে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে এসে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বাড়ির অদূরে একটি পাটক্ষেতে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় নিহত সুলতানার বাবা সুজা মিয়া বাদী হয়ে রংপুর কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে এসআই মহিবুল ইসলাম আসামি সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করা আইনজীবী রফিক হাসনাইন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান। অন্যদিকে নিহত সুলতানা পারভিনের বাবা সুজা মিয়াও রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যত দ্রুত সম্ভব ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান।