সকাল থেকে বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসছেন যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে। দলে দলে আসছেন যশোরের সাধারণ মানুষ। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে জনসভা। তার আগেই মাঠ ভরে গেছে। পুরো শহরে লোকে লোকারণ্য হয়েছে। উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে শহরের প্রতিটি প্রান্তে।
আওয়ামী লীগের আজকের এই বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক এই ভেন্যুসহ পুরো শহরকেই সমাবেশস্থলে পরিণত করতে গত সাত দিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, এই জনসভায় স্মরণকালের জনসমাগম ঘটাবে। শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনা এখন যশোরজুড়ে।
২০১৭ সালের পর যশোরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। তার কথা শুনতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন যশোরবাসী।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ৫০ বছর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোরের যে স্থানে জনসমুদ্রে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানেই ভাষণ দেবেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। করোনাকালের তিন বছর পর আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় প্রথমবারের মতো সশরীরে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এই সমাবেশ থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। অন্যান্য নির্বাচনের আগে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে শুরু হতো প্রচারণা, কিন্তু এবার যশোর থেকে সূচনা হচ্ছে নির্বাচনি তৎপরতা।
যশোর শহর ও জনসভাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সর্বত্র উৎসবের আমেজ। নতুন রূপে সাজানো হয়েছে পুরো শহর, সংস্কার হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, দেয়াল লিখন, আলোকসজ্জা ও তোরণ নির্মাণসহ ব্যাপক সাজসজ্জার করা হয়েছে। চলেছে মাইকিংসহ প্রচার-প্রচারণাও। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ হয়ে আছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ।