ভূরুঙ্গামারীর সেই স্কুলের এসএসসির ফলে যা জানা গেলো

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। সোমবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এটিএম খলিলুর রহমান।

প্রধান শিক্ষক জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভূরুঙ্গামারীর নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৮০ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ জন জিপিএ-৫ (এ প্লাস) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৪ জন এবং বাণিজ্য বিভাগ থেকে একজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এদিকে, প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন ভূরুঙ্গামারীর নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানসহ পাঁচ শিক্ষক এবং এক সহায়ক কর্মী। তাদের মধ্যে দুই সহকারী শিক্ষক ও সহায়ক কর্মী জামিনে মুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আরও এক সহকারী শিক্ষক উচ্চ আদালতে জামিনের আদেশ পেয়েছেন। প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেনসহ তিন শিক্ষক এখনও কারাগারে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমানের কক্ষ থেকে ছয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বিষয়গুলোর পরীক্ষা তখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষি ও রসায়ন— এই চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিতসহ ছয় বিষয়ের প্রশ্ন বাতিল করে শিক্ষাবোর্ড। পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ ঘোষণা করে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবায়ের হোসেন এবং অফিস সহকারী আবু হানিফের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানসহ পাঁচ শিক্ষক ও এক অফিস সহায়ককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনও পলাতক রয়েছেন অফিস সহকারী আবু হানিফ।