শিশু আয়াতকে হত্যা করা আবির আরও ৭ দিনের রিমান্ডে

চট্টগ্রামে শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে (৫) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আবির আলীর (১৯) আরও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক মনোজ কুমার দে জানান, দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। রিমান্ডে আবির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এ কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন করে আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত আবির আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আয়াতকে খুনের অভিযোগে পিবিআই আবির আলীকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার রাতে আয়াতের বাবা সোহেল রানা বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় আবিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

আবির রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকার আজমল আলীর ছেলে। নিহত আয়াত ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা নয়াহাট এলাকার শাহেদা ইসলাম তামান্না ও সোহেল রানা দম্পতির একমাত্র মেয়ে।

এর আগে, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ‘মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। গত ১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা নয়াহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার মসজিদের পাশ থেকে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ আকমল আলী সড়কের নিজ বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে আবির। লাশের টুকরো দুটি বস্তায় করে পতেঙ্গা বেড়িবাঁধ এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয় সে।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন আয়াতকে না পেয়ে তার বাবা সোহেল রানা ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এ ডায়েরির ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আবিরকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সে পিবিআইকে এ সব তথ্য দিয়েছে।’