ধান রোপণ করে জীবিত বাড়ি ফেরা হয়নি সলিমের

ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব তীর থেকে পশ্চিমে জেগে ওঠা চরে সোমবার সকালে ধানের চারা রোপণ করতে গিয়েছিলেন কৃষক সলিম উদ্দিন (৪৫)। চারা রোপণ শেষে নৌকা না পেয়ে নিজেই নদ সাঁতরে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র বাদ সাধে। কিছুদূর যেতেই নদের পানিতে ডুবে যান সলিম উদ্দিন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেন। খবর পেয়ে রাজিবপুর ফায়ার সার্ভিস ও জামালপুর থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় স্থানীয়দের সঙ্গে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধারে ব্যবহৃত স্থানীয়দের হাজারি বড়শিতে (একগুচ্ছ বড়শি) সলিম উদ্দিনের দেহের উপস্থিতি মেলে। পরে ডুবুরিদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে সলিমুদ্দি আর জীবিত ছিলেন না। যে ব্রহ্মপুত্রের চরে নিজের জীবিকার রসদ জোগাতে গিয়েছিলেন সেই ব্রহ্মপুত্রেই তার জীবনের ইতি ঘটে।

সলিম উদ্দিন কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার পশ্চিম রাজিবপুর এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। নদীভাঙনের কারণে তিনি পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ঢাকাইয়া গ্রামে বসবাস করতেন। তবে তিনি রাজিবপুর উপজেলার ভোটার ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সলিম উদ্দিনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেনরাজিবপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. হানিফ জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কিন্তু তাদের স্টেশনে ডুবুরি না থাকায় তারা জামালপুরের ইউনিটের সহায়তা চান। পরে জামালপুর ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি দল গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সলিম উদ্দিনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি রাজীবপুর উপজেলার শেষ সীমান্তে ঘটেছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’