স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

গাজীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাইফুল ইসলাম ওরফে শরিফুল (৪৫) নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুল নীলফামারী সদর উপজেলার রামকলা গ্রামের নূর আলমের ছেলে। 

গাজীপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিউিজটর (পিপি) মকবুল হোসেন কাজল জানান, কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ সুলতান মার্কেট এলাকার একটি বাসায় ভাড়ায় থেকে জিএমএস পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন মোহছেনা (৩৫)। তিনি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে। একই পোশাক কারখানায় দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে চাকরি করতেন শরিফুল। এই সুবাদে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর মোহছেনা জানতে পারেন, শরিফুল আগেও বিয়ে করেছেন। তার আগের পক্ষে চারটি সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো।

এক পর্যায়ে শরিফুলকে তালাক দেন মোহছেনা। এরপর থেকে শরিফুল বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যার ভয় দেখাতো। ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে মোহছেনার ঘর ভেতর থেকে লাগানো ছিল। প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খুলছিলেন না। খবর পেয়ে কাশিমপুর থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশকালে শরিফুল বের হয়ে আসছেন। এ সময় তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর ঘর থেকে মোহছেনার লাশ উদ্ধার করা হয়। মোহছেনার ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ওইদিনই কাশিমপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

কাশিমপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাপস কুমার ওঝা ২০২১ সালের ১০ মার্চ শরিফুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালত আজ মামলার একমাত্র আসামি শরিফুলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত পিপি মকবুল হোসেন কাজল। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারহানা খানম।