পাহারা বসিয়ে বিএনপিকে প্রতিহতের নির্দেশ মাহতাব-নাছিরের

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের জানমাল রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি ও সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন নগরীর ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে ও ১৩২টি ইউনিটের নেতৃত্বকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার পরও তারা বুধবার থেকেই ঢাকার পল্টনে রাজপথে অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিতে গেলে তারা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাধারণ জনগণের ওপর হামলা চালায় এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে দেয়। এতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, বিএনপি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাঞ্চালের দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মহড়া শুরু করে দিয়েছে। এই কর্মকাণ্ড সমগ্র দেশবাসীর জন্য অশনি সংকেত। আমরা এই অবস্থায় চুপ করে থাকতে পারি না। আমরা তাদেরকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবো এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থাকবো।’

বিবৃতিতে স্থায়ীয় নেতৃত্বকে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, ‘আজ থেকে যার যার নির্দিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকবেন এবং কোনোরকম অঘটনের আভাস পাওয়া মাত্র তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন সর্বোপরি জনগণকে সাথে নিয়ে নাশকতাকারীদের প্রতিহত করার মানসিক ও রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে। এলাকায় যারা চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী বা সন্দেহভাজনকে দেখা মাত্র তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দিঘীর পাড়সহ দুই-একটি এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। কোথাও কোথাও ঝটিকা মিছিল বের করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তাই এই পরিস্থিতে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার সময় এসেছে।