সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করতো তারা

সুন্দরবন থেকে ১৬ কেজি হরিণের মাংস, হরিণ ধরার ফাঁদ এবং ইঞ্জিনচালিত ট্রলারসহ আটক দুই শিকারিকে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা সুন্দরবনের ভেতরে হরিণ শিকার করছিল।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক আটক শিকারিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রবিবার সন্ধ্যায় সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতাধীন ডিমেরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

দড়িসহ আটক হরিণ শিকারি আটক দুজন হলেন– বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের ইদ্রিস আলী (৪০) এবং চর লাঠিমারা গ্রামের নিজাম উদ্দিন (৪৫)।

সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বনরক্ষীদের নিয়ে নিয়মিত টহলকালে ডিমের চর এলাকার খালে একটি ফিশিং ট্রলার দেখতে পান। সে সময় ওই ট্রলারে থাকা লোকজন বনরক্ষীদের দেখতে পেয়ে দ্রুত ট্রলার চালিয়ে বনের কিনারায় চলে যায়।

একপর্যায়ে ট্রলারটি ফেলে কয়েকজন লোক লাফিয়ে বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলার তল্লাশি করে ১৬ কেজি হরিণের মাংস এবং ১৫০ ফুট হরিণ ধরার নাইলনের দড়ির ফাঁদ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে টহল দলের বনরক্ষীরা চোরা শিকারিদের ধরতে বনে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর দুই শিকারিকে ধরতে সক্ষম হন তারা। শিকারি দলের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার সুফল রায় জানান, আটক শিকারিদের নামে বন আইনে মামলা দিয়ে সোমবার সকালে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উদ্ধার হওয়া হরিণের মাংস আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।