অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর শিশুকে উদ্ধার, অপহরণকারী গ্রেফতার

চট্টগ্রামে মহানগরীতে দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণের নয় ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি আবাসিক এলাকার ২৭ নম্বর ভবনে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল মিয়া (২৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার জুয়েল সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানাধীন মনোহরপুর এলাকার মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে। বর্তমানে নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় ভাড়া থাকে সে।

র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অপহৃত শিশুর বাবা পিয়ার মোহাম্মদ একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বালুচরা এলাকার ভাড়া ঘরে প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। সেই সুবাদে প্রতিবেশী জুয়েল মিয়ার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। জুয়েলের সঙ্গে পিয়ার মোহাম্মদের ছেলে ও মেয়ের সখ্যতা তৈরি হয়। ওই ছেলেমেয়েরা জুয়েলকে ভাইয়া বলে সম্বোধন করতো। সে বিভিন্ন সময় পিয়ারের ছেলেমেয়েকে দোকানে নিয়ে গিয়ে চকলেট ও চিপস কিনে দিতো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার দুপুর ১২টায় প্রতিদিনের মতো মেয়েটি পাশের রুমে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। আনুমানিক সাড়ে ১২টায় তাকে দেখতে না পেয়ে স্বজনরা খোঁজ করতে থাকেন।’

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জুয়েল ফোন করে জানায়, পিয়ারের মেয়ে তার হেফাজতে আছে। ফারিয়াকে পেতে হলে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরপর পিয়ার মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়ে দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তাড়াতাড়ি টাকা না পাঠালে ফারিয়াকে হত্যা করে লাশ ড্রেনে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়।

পরবর্তী সময়ে অপহৃত ভিকটিমের বাবা বিষয়টি লিখিতভাবে র‌্যাব-৭-কে অবহিত করে। র‌্যাব অপহৃত শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে শিশুটিকে অপহরণ করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে জুয়েল।