রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে হত্যা

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গলা কেটে মাহবুবুর রহমান (৩০) এক যুবককে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (১৫ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্যাম্পে দুষ্কৃতকারীদের হাতে ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা নিহত হলো।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

নিহত মাহবুবুর রহমান উখিয়ার ক্যাম্প-৮-এর ইস্ট এলাকার বাসিন্দা আবু শামার ছেলে। ক্যাম্প ৫-এ তার শ্বশুরবাড়ি। আর মরদেহ মিলেছে ক্যাম্প-৯ এলাকায়।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. আলী জানান, ৯ নম্বর ক্যাম্পে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পেছনে হাত বাঁধা, মুখে রশি দিয়ে আটকানো গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। তার বাঁ পায়ে কোপানোর ক্ষত রয়েছে।

তিনি জানান, দুষ্কৃতকারীরা বুধবার বিকালে তাকে অপহরণ করে ৯ নম্বর ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং সেখানে গভীর রাতে তাকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে ফেলে যায়।

এর আগে, বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তের গুলিতে মোহাম্মদ রশিদ (৩৫) নামে এক রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক নিহত হন।

উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরে ক্যাম্পে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত। ঘটেছে একাধিক মাঝি, সাব মাঝি ও স্বেচ্ছাসেবকসহ সাধারণ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনা। বুধবারও রাতে পাহারা শেষ করে ভোরে নিজ শেডে যাওয়ার সময় রশিদ নামে এক রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবককে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এর আগে ৫ মার্চ বালুখালী এলাকার ১১ নম্বর ক্যাম্পে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় তিন হাজার বাড়ি পুড়ে গেছে। এর পরের দিন ৬ মার্চ আরসা নেতা ডাক্তার ওয়াক্কাস এবং ৭ মার্চ কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা মাঝি সৈয়দ হোসেন দুষ্কৃতকারীদের হাতে নিহত হন। একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।