হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ

নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশের বাজারে সরবরাহ কমে দাম বাড়তির আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে বুধবার (১৫ মার্চ) অনুমতি থাকা মেয়াদের শেষ দিনে বন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে ১৯২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘আমরা শুনছি দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ও পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের সুযোগ নিতে পারেন অনেকে। আমদানি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে ছাড়েন না তারা স্টক করেন। এতে দেশের বাজারে সরবরাহে ঘাটতি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। কয়েকদিন পরেই রমজান মাস। তাই এ সময়ে বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে সেলক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া উচিৎ বলে মনে করছি।’

পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, ‘পুরনো আইপির মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত ছিল যা গতকাল শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে আর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারছেন না। যার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে আমরা শঙ্কায় রয়েছি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের মূল্য বাড়ালে রমজান মাসে  মানুষ পড়বে ভোগান্তিতে। সরকার যদি অন্তত রমজান মাসে আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে এই মাসে বাজার স্বাভাবিক থাকতো। সরকারের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

হিলি স্থলবন্দরের ম্যানেজার অসিত স্যানাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। বুধবার বন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে ১৯২ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমদানির অনুমতিপত্র ঢাকার খামাড়বাড়িতে অথোরিটি ইস্যু করে। আমরা স্থানীয় অফিসগুলো শুধু অনলাইনে দেখতে পায় কে আইপি পেলো বা কতদিন মেয়াদ। সেই মোতাবেক পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছিলাম যেসব অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল সেগুলোর মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত। গতকাল সেই সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন করে অনলাইনে কোনও আইপি দেখা যাচ্ছে না। আর আইপি যদি না পায় তাহলে এলসি খোলাসহ রিলিজ অর্ডার পাওয়ার সুযোগ নেই। যার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।’