তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

দিনাজপুরের হিলিতে কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তরল খাবার খাওয়ার ও বাইরের খোলা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীসহ অন্যান্য রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৫২-৫৩ জন রোগী ভর্তি থাকছেন। যার মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ১০ জন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে আগে গড়ে প্রতিদিন ২০০-২৫০ জন রোগী আসলেও বর্তমানে ৩০০-৩৫০ রোগী আসছেন। রোগীদের বাড়তি চাপের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীসহ বেড়েছে অন্যান্য রোগীর সংখ্যা।হাসপাতালে আসা মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অতিরিক্ত গরমে হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা শুরু হয়। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ার পরও পাতলা পায়খানা ভালো হচ্ছিল না। এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’

মেয়েকে নিয়ে আসা আসমা আকতার বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গতকাল রাতে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। দিনে প্রচণ্ড গরম রাতে ঠাণ্ডা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই সমস্যা হচ্ছে।’

ছেলেকে নিয়ে আসা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘হঠাৎ করে আমার ছেলের জ্বর আসে সঙ্গে পেটব্যথা ও বমি। পরে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ডাক্তার ওষুধ দিয়েছে এখন কিছুটা ভালো।’

হাসপাতালে আসা গৃহবধূ আছিরন আকতার বলেন, ‘ইফতারির পর থেকে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। ওষুধ খেয়েও কোনও কাজ হচ্ছিল না। পরে আমার স্বামী হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে। দুদিন ভর্তি থাকার পর ওষুধ খেয়ে এখন অনেকটা সুস্থ।’    

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.কামরুন্নাহার আজাদী বলেন, ‘রমজানের শুরু থেকেই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যাদের অধিকাংশ বয়স্ক ও শিশু। আমাদের ৫০ শয্যার বিপরীতে এর অধিক রোগী ভর্তি থাকছেন। কয়েকদিন ধরে হিলিতে প্রচণ্ড গরম অবস্থা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে রোজা রাখার পর ইফতারিতে বাইরের খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণেই এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, বেশি করে পানি পান করতে হবে। তরল খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে বাইরের খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।’