ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আর তৈরি না করার অনুরোধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। গত ১০ দিনে ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় আট জনকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়। নতুন করে দেশীয় অস্ত্র তৈরি না করার অনুরোধ করা হয় কামারদের। 

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। 

ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, গত ঈদুল ফিতরের দিন উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়ায় সংঘর্ষে জামাল নামে এক কৃষক নিহত হন। এ সময় আহত হন অর্ধশতাধিক লোক। এরপরই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নাসিরনগর থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। 

পরে উপজেলার নূরপুর, হরিপুর, নরহা, চিতনা, ধরমণ্ডল, শংকরাদহ, গোকর্ণ, কুণ্ডা, জেলে পাড়া, শ্রীঘর, চাপরতলা, ভোলাউক, উরিয়াইন, আতুকুড়া, মুকবুলপুর এবং পূর্বভাগসহ ২৫ গ্রামে অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানে রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, টেঁটা, ফলা, চল এবং সড়কিসহ ঝগড়ার কাজে ব্যবহৃত প্রায় প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

হাবিবুল্লাহ সরকার আরও জানান, ঝগড়ার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র তৈরি বন্ধে স্থানীয় কামার ও বাঁশ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শনিবার (৬ মে) সভা করা হয়। সভায় উপজেলার ৩৮ জন কামার ও ১৬ জন বাঁশ ব্যবসায়ী উপস্থিত হন। এ সময় কৃষি ও নিত্যপ্রয়োজনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ছাড়া সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্র তৈরি না করার অনুরোধ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত করেন তারা এই ধরনের অস্ত্র তৈরি করবেন না।