ডায়রিয়ার কারণ তদন্তে আইইডিসিআরের ১২ সদস্য চট্টগ্রামে

ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে চট্টগ্রামে এসেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ১২ সদস্যের একটি দল। রবিবার (৭ মে) রাতে দলটি চট্টগ্রামে পৌঁছায়।

সোমবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবির সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম চট্টগ্রামে এসেছে। তারা ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ খুঁজতে আজ থেকে মাঠে কাজ শুরু করেছেন। সকালে আইইডিসিআরের দলের সদস্যরা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।’

এর আগে গত ৫ মে চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আইইডিসিআরকে চিঠি দেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন। চিঠিতে চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়।

পরবর্তী সময়ে গত ৬ মে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১২ সদস্যের একটি দল গঠন করে চট্টগ্রামে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেন। চিঠিতে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। আইইডিসিআরের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. জাহিদুর রহমানকে টিম সুপারভাইজার এবং ডা. ইমামুল মুনতাসিরকে প্রধান করে তদন্ত দলটি গঠিত হয়। অন্য সদস্যরা হলেন– আইইডিসিআরের ডা. আবীর শাকরান মাহমুদ, ডা. মো. সাইক বিন আলম, ডা. তানভীর আহমেদ, মিঠুন বাহাদুর, আইসিডিডিআরবির মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইশতিয়াকুল ইসলাম খান, আইইডিসিআরের সিনিয়র মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. হাবিবুর রহমান, আইসিডিডিআরবির মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নাহিদা খানম, রাজিবুল আমিন সুমন ও আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল কুদ্দুস।

এদিকে, সোমবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলার ১৪টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২৯১ জন।