মামুনুল হকের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিলেন কথিত স্ত্রী ঝরনার ছেলে

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন তার কথিত স্ত্রী ঝরনার ছেলে। 

সাক্ষীরা হলেন– মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝরনার ছেলে আব্দুর রহমান এবং সংবাদকর্মী এনামুল হক বিদ্যুৎ। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘আজ আদালতে দুজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝরনার ছেলে আব্দুর রহমান আদালতে বলেছেন, “মামুনুল হক আমার বাবার ঘনিষ্ট বন্ধু। ২০১৮ সালে আমার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর আমার মা ঢাকায় চলে যান এবং মামুনুল হকের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে তারা বৈধভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় তাকে জোর-জবরদস্তি করা হয়নি।” এমনকি রয়েল রিসোর্টে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। এতে প্রতীয়মান হয় আল্লামা মামুনুল হক নির্দোষ।’

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝরনার ছেলে আব্দুর রহমান এবং সংবাদকর্মী এনামুল হক বিদ্যুৎ সাক্ষ্য দিয়েছেন। সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’

এই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করে। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।