বসতঘরে আগুনে পুড়ে দেবর-ভাবির মৃত্যু 

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বসতঘরে আগুন লেগে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ইমরান হোসেন (২৬) ও নাছরিন আক্তার (২৩)। সম্পর্কে তারা দেবর-ভাবি বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বৌলতলী এলাকার কাজিরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের বসতঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

লৌহজং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে বিচ্ছিন্ন এলাকায় রাস্তা না থাকায় নৌকাযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় দুটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী অপরজন পুরুষ। বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে বসতঘরে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত নাসরিনের বাবা নূর ইসলাম খান বলেন, ‘আমার মেয়ে, মেয়ের জামাই শুভ ও দেবর ইমরান কয়েকদিন আগে বেড়াতে আসে। সকালে শুভ তার ব্যবসার কাজে ঢাকায় যান। মেয়ে ও মেয়ের দেবর বাসায় ছিলেন। হঠাৎ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘরে আগুন লেগে যায়। আমরা প্রাথমিকভাবে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসকে কল করে জানাই। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই ঘরসহ আমার মেয়ে ও মেয়ের দেবর আগুনে পুড়ে মারা যায়।’

লৌহজং থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়েবী বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহত পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। সে সঙ্গে পুঁড়ে যাওয়া ঘর পুনর্বাসনের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।’