শেখ কামাল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের গর্বিত ছেলে শেখ কামাল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। কেবল মুক্তিযুদ্ধেই নয়, তার অসামান্য অবদান রয়েছে দেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনে। শেখ কামাল জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে আজীবন কাজ করে গেছেন দেশের জন্য।’

শনিবার দুপুরে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। নেছারাবাদ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শ ম রেজাউল করিম ৭৫-এর ১৫ আগস্টের নৃশংসতার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জেনারেল শফিউল্লাহকে ফোন করে বলেছিলেন, “শেখ কামালকে ওরা মেরে ফেলছে। তোমার লোকরা আমার বাড়ি আক্রমণ করেছে।” শেখ কামাল প্রথমেই সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে। প্রতিরোধের প্রথম প্রহরেই নৃশংসতার শিকার হন শেখ কামাল। অসীম সাহসী, অসাধারণ মেধা ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামালকে হত্যার লক্ষ্য ছিল প্রতিরোধ গড়ার পথ যেন রুদ্ধ করে দেওয়া যায়। সর্বশেষে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র ১০ বছরের শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিল।

‘পৃথিবীর ইতিহাসে অনেকেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেটি ঘটেছিল সেটি নিষ্ঠুরতম ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস করতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।’

শেখ কামাল প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ কামাল ছাত্রলীগের একজন সক্রিয়, আদর্শবাদী একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি দক্ষতার সঙ্গে ছাত্রলীগের বিভাজন দূর করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘ঘাতকরা ভেবেছিল মুজিবকে হত্যা করা মানেই সব শেষ, কিন্তু ওরা জানে না মুজিব মানেই একটি বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, তার দর্শন, বিশ্বাস আমাদের পাথেয়। তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে।’

সভাশেষে ১১ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে তাদের জন্য নির্মাণ করা বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর করেন মন্ত্রী। এর আগে তিনি সকালে জাতির জনকের ম্যুরালে এবং শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে  পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্যে দেন– সাবেক সচীব বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শামসুল হক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র মো. গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, সম্পাদক এসএম ফুয়াদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান প্রমুখ।