ভ্যানচালক হত্যার ২৩ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ভ্যানচালক মহিদুল আকন্দকে হত্যা মামলায় তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের দেবোত্তরপাড়ার নুরু মোল্লার ছেলে সাইদুল ইসলাম, আয়েজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে মো. ফটু ও সাত্তার মোল্লার ছেলে জাহিদুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় দুজন আদালতে হাজির ছিলেন। সাইদুল পলাতক আছেন। 

ভ্যানচালক মহিদুল আকন্দ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান উত্তরপাড়ার আকবর হোসেন আকন্দের ছেলে।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাছিমুল করিম হলি জানান, ২০০০ সালের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে বেড়ানোর নামে ভ্যান ভাড়া করেন ওই তিন জন। এক পর্যায়ে রাতে গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের ধোপাড়াদীঘি সড়কের পাশে নিয়ে যান। সেখানে গলায় গামছা পেঁছিয়ে ভ্যানচালক মহিদুলকে হত্যা করেন তারা। পরে লাশ ফেলে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন গাবতলী থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। 

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আকবর হোসেন আকন্দ গাবতলী থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেফতারের পর তিন আসামির মধ্যে জাহিদুল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে ফটু ও সাইদুল জামিনে ছাড়া পান। এরপর থেকে সাইদুল পলাতক রয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা গাবতলী থানার তৎকালীন এসআই কেএম ফিরোজ গত ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর আদালত রায় ঘোষণা করেন। 

আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জুরে আলম মুন্নু ও অ্যাডভোকেট এসডু হোসেন বেলাল মামলা পরিচালনা করেন। এ ছাড়া পলাতক সাইদুলের পক্ষে ছিলেন স্টেট ডিফেন্স অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন।