বুধবার বন্ধ হচ্ছে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন

বর্তমান ফেইসে কয়লা না থাকায় বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি। পরবর্তী উৎপাদন শুরু করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এতে কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম সরকার। তিনি জানান, এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। পুরাতন ফেইসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি বন্ধ করে নতুন ফেইস চালু করা হবে। এজন্য আপাতত উৎপাদন বন্ধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কয়লার উৎপাদন অনেক কমে গেছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে খনির ১১১৩নং ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। এই ফেইস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন হয়েছে। বর্তমানে ওই ফেইসের কয়লার মজুত শেষ। ফলে ফেইসটি বন্ধ করে সেখান থেকে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করে নতুন ফেইস ১৪১২ চালু করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে এই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। নতুন এই ফেইসে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে।

সূত্রটি জানায়, প্রতিবারই কয়লাখনির যেসব ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয় সেসবের উত্তোলনযোগ্য মজুত শেষ হলে সেটি বন্ধ করা হয়। এরপর সেখান থেকে যন্ত্রপাতি তুলে নতুন ফেইস তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে যে ফেইসটি বন্ধ করা হচ্ছে সেটি চালু করা হয়েছিল চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল।

এদিকে, কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনে কোনও সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত কোল ইয়ার্ডে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩নং ইউনিট চালু রয়েছে এবং সেখানে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হচ্ছে। সেই হিসাবে আগামী দুই মাস অনায়াসেই মজুত করা কয়লা দিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সচল রাখা যাবে। বর্তমানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

কয়লাখনির এমডি জানান, পুরনো ফেইস বন্ধ এবং নতুন ফেইস চালু পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে অবহিত করা হয়েছে। মজুত করা পরিমাণ কয়লা আছে তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনও সমস্যা হবে না।