শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অডিট কর্মকর্তাদের নামে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে এক হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সোমবার সকাল ভোরে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এ অভিযোগ তুলেছেন। তবে অভিযোগের বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে গেলে অফিস থেকে দ্রুত চলে যান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলা ও জাজিরা উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি অডিট টিম আসে। সেই টিমকে দেওয়ার কথা বলে ডামুড্যা উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে এক হাজার করে টাকা তোলার জন্য প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন। এরপর প্রায় ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

কয়েকজন প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা অফিসার জোর করে বিভিন্ন ইস্যুতে টাকা উত্তোলন করেন। অডিট আসার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন। আবার কী কারণে সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন সেটা আমরা জানি না।’

২৯নং কেউর ভাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজি ফারুক আলম ফোনে বলেন, ‘অডিটের কথা বলে এক হাজার করে টাকা নিয়েছিলেন, আবার সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। কেন ফেরত দিয়েছেন সেটি আমি জানি না।’

ডামুড্যা উপজেলার শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তিনি অডিট টিমের জন্য টাকা উত্তোলন করেছিলেন। তারা টাকা নেবেন না, সেজন্য ফেরত দিয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বলে এতটুকু জানতে পেরেছি, এর বেশি কিছু জানি না। তবে এটি ভালো জানে প্রধান শিক্ষকরা।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য আনতে গেলে তিনি সাংবাদিকের কথা শুনে দ্রুত অফিস থেকে চলে যান। পরে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন আহমেদ ফোনে বলেন, ‘শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি অডিট টিম এসেছিল। এ জন্য টাকা উত্তোলনের করার কোনও সুযোগ নেই। টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, এমনটা আমার জানা নেই। শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা উত্তোলন করেছেন– এমন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’