দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি চিড়িয়াখানা রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় অবশেষে পাঁচ বছর পর রয়েল বেঙ্গল টাইগার দম্পতি রোমিও-জুলিয়েটকে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে বিশেষ ব্যবস্থায় এই বাঘ দম্পতিকে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বার আলী তালুকদার।
এর আগে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাঘশূন্য রংপুর চিড়িয়াখানায় বিকাল পৌনে ৪টার দিকে লাল কাপড়ে মোড়ানো লোহার দুটি খাঁচা পৌঁছায় রংপুর চিড়িয়াখানার ফটকে। বিষয়টি আগেভাগে জানাজানি হলে উৎসুক জনতা চিড়িয়াখানা চত্বরে ভিড় জমায়। বাঘ দম্পতিকে আনার পরপরই ঢাক ঢোল পিটিয়ে বরণ করে নেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর পর রোমিও-জুলিয়েট দম্পতির শুভাগমন এবং দ্বিতীয় জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খাঁচার সামনে কেক কাটা হয়। এরপর তাদের নির্ধারিত খাঁচায় রাখা হয়।
রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বার আলী তালুকদার বলেন, ‘ঢাকার মীরপুরের সরকারি চিড়িয়াখানার পর রংপুর চিড়িয়াখানাটি দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি চিড়িয়াখানা। এর আগে এখানে একটিমাত্র বাঘিনী ছিল। সঙ্গীহীন অবস্থায় চার বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যায় সে। এরপর অনেকদিন বাঘ দম্পতি বিহীন অবস্থায় ছিল রংপুর সরকারি চিড়িয়াখানা। আগে যে বাঘের খাঁচা ছিল সেটি অত্যন্ত ছোট। পরে এর সংস্কার করা হয়। অবাধে বিচরণ করার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঘ দুটির জন্য মাংস সরবরাহসহ অন্যান্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে বাঘের পরিচর্যায় কোনও ঘাটতি থাকবে না।’
প্রসঙ্গত, রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানাটি গড়ে ওঠে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তি, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুকসহ অন্যান্য প্রাণী রয়েছে। প্রতিদিন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত মানুষ রংপুর চিড়িয়াখানায় আসে। বাঘ না থাকায় দর্শনার্থী কমে যাচ্ছিল বলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়।