একসময়ের জৌলুশ ছড়ানো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি)। এখানে তৈরি হতো বিদ্যুতের খুঁটি, রেলের স্লিপার, সেতুর পাটাতন ইত্যাদি। সময়ের পরিবর্তনে এসব পণ্যের চাহিদা হ্রাস এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছিল হাজার কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে বদলে গেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। উৎপাদন কৌশল বদলে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক মেশিন। সেখানে বর্তমানে তৈরি হচ্ছে আধুনিক ও মানসম্মত আসবাবপত্র।
বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৫৯ সালে ১২ একর জায়গার ওপর এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করা হয়। আগে বনের কাঠ ব্যবহার করলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করছে বনে জীবনচক্র হারানো গাছ এবং বন বিভাগের জব্দ করা নিলামে পাওয়া গাছ। কারখানায় গাছ চেরাইয়ের পরে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সিজনিং, ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে কাঠের স্থায়িত্ব বাড়ানো হয়। যা দিয়ে গুণগত মানের আসবাবপত্র, দরজা, চৌকাঠ ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
বিএফআইডিসির কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক গুণগত মান বজায় রেখে আসবাবপত্র তৈরি করে সরবরাহ করছি। এতদিন আমরা শুধু বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী আসবাবপত্র তৈরি করে সরবরাহ করতাম। তবে আমাদের বাণিজ্যিকভাবে পণ্য উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে আমাদের তৈরি বিভিন্ন মানসম্মত আসবাব সাধারণ মানুষ ব্যবহারের সুযোগ পান।’