বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে প্রথম ঘণ্টায় পার হয়েছে ৭২ গাড়ি

যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে টানেল উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে প্রথম একঘণ্টায় (সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত)  যানবাহন চলাচল করেছে ৭২টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৯ হাজার ২৫০ টাকা।

টানেল প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'টোল আদায়ের জন্য ১২টি বুথ আছে। প্রথমদিন ১০টি চালু করা হয়েছে। এখানে তিনভাবে টোল দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে বর্তমানে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হচ্ছে।'

টানেল প্রকল্পের টোল ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন বলেন, 'সকাল ৬টা থেকে টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর দুই পাশ থেকেই যানবাহন চলাচল করছে।'

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে বহু প্রতীক্ষিত টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নিজ হাতে টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।

টানেল পাড়ি দিতে পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০ টাকা, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪০০ টাকা, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০ টাকা, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৮ দশমিক ১ থেকে ১১ টন) ৬০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা  টোল দিতে হয়।

টানেল প্রকল্পে শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বেড়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।