যানবাহন নেই সাভারের মহাসড়কগুলোতে

দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা হরতালে সাভারের ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে তেমন কোনও যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বাস না পেয়ে অটোরিকশা ও লেগুনায় চলাচল করছেন সাধারণ যাত্রীরা। রবিবার সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন মহাসড়ক ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, হরতালে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অফিসগামীসহ সাধারণ মানুষ। তবে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের। অনেক কারখানা নিজস্ব গাড়িতে শ্রমিকদের বহন করলেও বেশিরভাগ শ্রমিকের একমাত্র ভরসা ছিল রিকশা। তবে সড়কে মাঝেমধ্যে দু-একটি লোকাল বাস চোখে পড়লেও এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি দূরপাল্লার কোনও যানবাহন।

সাভার বাজার, গেন্ডা, উলাইল, নবীনগর ও বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাধারণ যাত্রীদের দীর্ঘ সময় পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আধ ঘণ্টা পর একটি বাসের দেখা মিললেও অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে বাসে উঠতে না পেরে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা ও স্থানীয় যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।

গার্মেন্টস শ্রমিক রফিকুল ও মো. মাহবুব জানান, তাদের কারখানার নিজস্ব বাস না থাকায় গাড়ির জন্য দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। পরে বাধ্য হয়ে তিন-চার জন মিলে একটি অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কারখানায় যেতে হয়েছে।

হেনা নামের অপর এক যাত্রী জানান, বেলা ৯টার দিকে তিনি সাভার বাসস্ট্যান্ডে এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। হরতালের জন্য সড়কে যানবাহন একেবারেই কম। আধঘন্টা পর একটি বাস পেলেও তাতে ওঠার কোনও উপায় নেই। পরে লেগুনাতে উঠে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিতেছেন।

হরতালে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও সকাল থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হরতালবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘সাভারে এখন পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল রাতে থেমে থাকা একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আজ সড়কে যাতে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জনগণের নিরাপত্তায় আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।’