প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বসছে ২০ ডিজিটাল স্ক্রিন, নগরীজুড়ে উৎসবের আমেজ

সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে মহানগরীতে বসানো হচ্ছে ২০টি ডিজিটাল স্ক্রিন। যা জনসভা এলাকার চারদিকে বসানোর কাজ চলছে। এ জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলছে মাইকিং, পোস্টারিং, আলোকসজ্জা, প্রচার মিছিল, প্ল্যাকার্ড, বিলবোর্ড ও তোরণ নির্মাণ। গোটা নগরীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। পাশাপাশি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে এ নগরীকে।

সোমবার দুপুর ২টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেন, ‘১০ লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতির মাধ্যমে সমগ্র মহানগরীকে জনসমুদ্রে পরিণত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। তাই শহরের শিববাড়ি, হাজী মহসিন রোড, কাস্টমস ঘাটসহ জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২০টি ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হচ্ছে। যাতে এসব স্থান থেকে জনতা প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি দেখার সুযোগ পান ও তার কথা শুনতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, নগরীজুড়ে দিনভর মাইকিং চলছে, লাগানো হয়েছে পোস্টার ও বিলবোর্ড। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রাতে আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। নগরীতে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ।

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, সমাবেশের দিন সার্কিট হাউজ মাঠে থাকবেন নারী কর্মীরা। পুরুষ নেতাকর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ি মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে।

জনসভা মঞ্চ

তিনি জানান, বাগেরহাট, রূপসা ঘাটে ৫টি ফেরি দেওয়া হচ্ছে। আর নারী কর্মীদের বহনকারী বাস নগরীর নতুন বাজার পর্যন্ত আসবে। এ ছাড়া জেলখানা ঘাটে ৩-৪টি ফেরি দেওয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের নেতাকর্মীদের জন্য একটি স্পেশাল ট্রেন খুলনায় আসবে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউজ মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারেন সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।