মাগুরার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির বৃহস্পতিবার দেওয়া নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জবাব দিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা শেষে দুঃখ প্রকাশ করলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তিনি কমিটির প্রধান মাগুরার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের খাস কামরায় হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেন।
এ বিষয়ে সাকিব আল হাসানের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, ‘২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় জমা হয় তার ভক্ত ও উৎসুক জনতা। সেখানে ভক্ত ও সাধারণ জনতা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। কিংবা দলীয় কাউকে তিনি ডাকেননি। আমরা নোটিশের জবাবে এসব কথা উল্লেখ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকবো। আইন মেনে চলবো।’
বৃহস্পতিবারের ওই নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরায় আসছিলেন। সে সময় পথে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। যা গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হয়েছে। এটির মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮-এর ৬ (ঘ), ৮ (ক) , ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় এই কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য আপনাকে বলা হলো।’
মাগুরা জজ আদালত থেকে বেরিয়ে সাকিব আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২৯ তারিখে আমি ঢাকা থেকে মাগুরায় আসলে আমার ভক্তসহ শহরবাসী আমাকে শুভেচ্ছা জানান। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনার জন্য আমি খুবই দুঃখিত। আমি নির্বাচনি আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তবে নির্বাচনে এই প্রথম ও নতুন। আগামীতে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমি দৃষ্টি রাখবো।’