পানছড়িতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার জনকে হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, হরতাল, সড়ক অবরোধ ও বাজার বয়কটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবিশংকর চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংকন চাকমা এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই হত্যাকাণ্ডকে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নেই তা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আর একবার প্রমাণিত হলো।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা বলেন, ‘গতকাল পিসিপির সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা (২৮), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা (২৯) এবং ইউপিডিএফ সংগঠক রহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯), নীতি দত্ত চাকমা ও হরিকমল ত্রিপুরাসহ ৭ জন নেতাকর্মী যুব সম্মেলন সফল করার জন্য লোগাঙ এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। আজ ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

‘ঘটনার সময় রাতে বিপুল চাকমাসহ ওই ৭ জন অনিলপাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে পানছড়ি সদর এলাকা থেকে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে যায় এবং বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখনও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।’

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।

হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো– ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা, বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন; ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট (প্রয়োজনে বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে); ১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট; ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ।