গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড

গ্রাহকের জমানো ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা ডাকঘরের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয় জনকে নয় বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ  আদালতের বিচারক হায়দার আলী মামলার দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। বাকি দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসে কর্মরত থাকা কালে সহকারী পোস্টমাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান পরস্পর যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদক ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে নয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন।

পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার সরকার পক্ষের দুদকের আইনজীবী একেএম হারুনর রশীদ বলেন, ‘আমরা সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান জানান, তার মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।