বিশ্ব ইজতেমার ৩ মুসল্লির মৃত্যু 

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর। তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরুর আগে বৃহস্পতিবার বার্ধক্যজনিত কারণে দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বাসের ধাক্কায় এক মুসল্লি নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছেন।

বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যাওয়া দুজন হলেন- শেরপুর জেলা সদরের মৃত মহেজ উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৬৫) এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে আব্দুল হেলিম (৬২)।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সেলের প্রধান সায়েম জানান, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ৩টার দিকে ইজতেমায় আসা আবুল কালাম শ্বাসকষ্ট ও প্রেসারজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গীরা তাকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই হাসপাতালের হার্টের সমস্যায় চিকিৎসার জন্য নিতে গেলে সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুল হেলিমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর মাছবাজার এলাকায় বাসের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন। তারা হেঁটে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে যাচ্ছিলেন।

নিহতের নাম আবুল কাশেম (৬৫)। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বাসিন্দা। আহতরা হলেন- মিলন মাঝি (৬০), বাদশা মিয়া (৪৫) ও রাজু (৪০)।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘বুধবার একই এলাকার পাঁচ জন একসঙ্গে লক্ষ্মীপুর থেকে বাসে করে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেওয়ার জন্য রওনা দেন। ভোর ৫টার দিকে আবদুল্লাহপুর পৌঁছে তাঁরা পায়ে হেঁটে ইজতেমা মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন। আব্দুল্লাহপুর মাছ বাজারের কাছে আসলে দ্রুতগতির একটি বাস ধাক্কা দিলে কাশেম, মিলন, বাদশা ও রাজু আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে কাশেমকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি জানান, আহত বাদশা, মিলন ও রাজুর আঘাত গুরুতর নয়। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।