মেডিক্যালছাত্রকে শিক্ষকের গুলি: ক্লাসে ফিরছেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা

সহপাঠী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের শাস্তি দাবি করে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করছেন সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্যের অনুরোধে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে তারা ক্লাসে ফিরবেন বলে জানা গেছে। তারা শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আজও ক্লাস বর্জন করেছিল।

বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ৩টার দিকে ওই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন বলেন, ‘আমরা দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের বুঝিয়েছি, ক্লাস না করলে তাদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। এবং অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একদিকে, তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন, অন্যদিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, যেন এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর না ঘটে। তাদের নিরাপত্তার কথাও তারা বলেছেন। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। পরে তারা কাল থেকে আবার ক্লাস ও পরীক্ষায় নিয়মিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ) বিকালে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।