কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে শনিবার (৯ মার্চ)। ইভিএমের মাধ্যমে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের আগেই প্রার্থীর সমর্থক ও আত্মীয়-স্বজনদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এজন্য শুধু কেন্দ্র নয়, সারা কুমিল্লাকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আনার দাবি করেছেন প্রার্থীরা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কুমিল্লার দুটি উপজেলার ২৭টি ওয়ার্ড ও ১০৫টি কেন্দ্র নিয়ে এই সিটি করপোরেশন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। ঘড়ি প্রতীকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, ঘোড়া প্রতীকে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন কায়সার, বাস প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার এবং হাতি প্রতীকে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে নগরীকে একরকম নিরাপত্তার চাদরের ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপার।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা যা যা প্রদক্ষেপ নেওয়া দরকার নিয়েছি। প্রচারণা শেষ হওয়ার পর থেকে শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো কুমিল্লাকে নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ফল ঘোষণার পর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।’
পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কুমিল্লাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দৃশ্যমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি থাকবেন সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরাও। কোনও বিশৃঙ্খলা হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও খবর: প্রচারণার শেষ দিনেও হামলার অভিযোগ, কুমিল্লা নগরীকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে আনার দাবি