৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা কারাগারে

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে অভিযুক্তদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে তাদের আটক করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

অভিযুক্তরা হলেন- জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম (৩৪) এবং কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান (৩৪)।

জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নজরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ এবং সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংক তামাই শাখা পরিদর্শনে গিয়ে হিসাবে গরমিল ও সন্দেহ পরিলক্ষিত হয়। রবিবার তামাই শাখায় উপস্থিত হয়ে লেনদেনের অডিট শেষে দেখা যায়, ক্যাশভোল্টে পাঁচ কোটি বাইশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার হিসাব নেই। এ সময় তামাই জনতা ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা সদুত্তর দিতে পারেননি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। পরে এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাতে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত তাই সাধারণ ডায়েরির কপি দুদকে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে আটক করি। ঘটনাটি অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কিত হওয়ায় এটি দুদক দেখবে। তারপরও তারা যেহেতু ধর্তব্য অপরাধ করেছেন, তাই তাদের সকালে (৫৪ ধারায়) আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি দুদক দেখবে, কিন্তু ধর্তব্য অপরাধ হওয়ায় থানা পুলিশ তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠায়। আদালত তাদের জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মো. খায়রুল হক বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে ডায়েরির কপিটি হাতে এসেছে। এখন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতির জন্য কমিশনে আবেদন পাঠানো হবে। অনুমতি আসার পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নজরুল ইসলামকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।