অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সদ্য সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (এমপি) রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক বগুড়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সোমবার নিজ কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেন।

দুদক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, সাবেক এমপি বাবলু ও তার স্ত্রী বিউটি হঠাৎ অঢেল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ৭ মার্চ তার স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়। পরের বছর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। তদন্তে তাদের দেওয়া হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। বাবলু তার স্থাবর ও অস্থাবর মিলে এক কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য দাখিল করেন। তদন্ত করে তার ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। একইভাবে তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এক কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদের সন্ধান মেলে।

তিনি আরও জানান, ওই দম্পতির জ্ঞাত আয় বহির্ভূত দুই কোটির সম্পদ পাওয়ায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সোমবার তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু সাংবাদিকদের জানান, মামলার ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। চিঠি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বাবলু ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থনে ট্রাক মার্কা নিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে অবশ্য তিনি বিএনপি ও জামায়াতের অবদান অস্বীকার করেন। নির্বাচনের আগে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করলেও কেউ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এমপি হওয়ার আগে বাবলুর বার্ষিক আয় ছিল মাত্র পাঁচ হাজার টাকা; চলাফেরা করতেন ভাঙা মোটরসাইকেলে। শপথ নেওয়ার পরপরই অনেক দামি গাড়ি কেনেন। ফেসবুকে পিস্তল কেনার ছবি শেয়ার ও স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানকে অস্ত্র প্রদর্শন করে ব্যাপক আলোচিত হন। সন্তানদের একাধিক ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, সঠিকভাবে তদন্ত হলে সাবেক এমপি বাবলু এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক সম্পদ পাওয়া যাবে।