বরিশাল নগরীর আইনশৃঙ্খলায় ২৬০ সিসি ক্যামেরা

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) সদর দফতরে ‘ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ফিতা কেটে এর উদ্বোধন  করেন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং উন্নত পুলিশি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ডিজিটাল সার্ভিলেন্সের মাধ্যমে ক্রাইম কন্ট্রোল, ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিংয়ের জন্য চালু করা হলো “ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার”। একটি কক্ষে স্থাপিত অত্যাধুনিক এ কমান্ড সেন্টার থেকে ২৬০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব সময় বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকাকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সেন্টার থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মহানগরীর আইনশৃঙ্খলার চিত্র সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে। এ ছাড়াও মহানগরী এলাকায় অনুষ্ঠিত যেকোনও ধরনের জনসমাবেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা; চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীকে চিহ্নিতকরণ এবং পূর্বে ঘটে যাওয়া অপরাধসহ আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রকৃত লাইভ ভিডিওচিত্র ধারণ ও সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।

‘স্থাপিত সিসি ক্যমেরার মাধ্যমে সহজেই বরিশাল মহানগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণে বাস্তবসম্মত নির্দেশনা প্রদান করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে এই সেন্টারে একজন ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনসহ দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে এই সেল কার্যকর ভূমিকা রাখবে। স্থাপিত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের চারটি থানার পুলিশের সেবা দান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’

জানা গেছে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আইসিটি অ্যান্ড মিডিয়া সেলে একঝাঁক দক্ষ জনবলের মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ও সাইবার স্পেসে যেকোনও ধরনের গুজব প্রতিরোধ এবং অনলাইনভিত্তিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৪/৭ সাইবার পেট্রোলিং করা হচ্ছে। ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরিশাল সংক্রান্ত যেকোনও ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হলে তা সাইবার পেট্রোলিং টিমের নজরে চলে আসবে।

এই সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিক বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে প্রকাশিত সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক নিউজ সাইটে প্রকাশিত সংবাদ পর্যবেক্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে দক্ষ জনবলের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের সব ইউনিটসহ অপারেশনাল ফোর্সের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এই সেন্টার থেকে যেকোনও জরুরি পরিস্থিতিসহ স্বাভাবিক সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলের প্রকৃত তথ্য জানা, ফোর্স প্রেরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সহজে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব হবে।