মৎস্যঘের থেকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার

বাগেরহাটের চিতলমারীর একটি মৎস্যঘের থেকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চিতলমারী উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ গ্রামের হাসান শেখের মৎস্য ঘের থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে মৎস্যঘেরে কুমিরটি দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ভিড় জমান। এক পর্যায়ে সবাই মিলে উদ্ধার করে দেখা যায় কুমিরটির শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো রয়েছে। পরে ট্রাকে করে কুমির খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার (ডিএফও) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কেউ যাতে কুমিরটির ক্ষতি না করে সেজন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। খবর শোনার পর থেকে আমরা বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। খুলনা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় আচার্য্যের নেতৃত্বে একটি দল ট্রাকে করে কুমিরটিকে খুলনায় নিয়ে গেছে।’

খুলনার ডিএফও নির্মল কুমার পাল বলেন, ‘আমরা কুমিরটিকে উদ্ধার করেছি। কুমিরটি সুস্থ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে কুমিরটিকে সুন্দরবনের গভীরে অবমুক্ত করা হবে।’

জানা গেছে, গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের কুমিরের চলাচল ও গতিপথ জানার জন্য গত ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে চারটি কুমির সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে অবমুক্ত করা হয়। তার মধ্যে তিনটি কুমিরের অবস্থান সুন্দরবনে পাওয়া গেলেও, অন্য একটির অবস্থান মোংলা, বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, পিরোজপুর এলাকায় পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়।