বিক্রির সময় তেল চুরি, পেট্রোল পাম্পের মেশিন সিলগালা

যশোরে ফিলিং স্টেশন মনিটরিংয়ের সময় একটি তেল বিক্রির মিটার মেশিনে চুরি ধরেছে বিএসটিআই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টার নামে ওই পাম্পে অভিযান চালিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার সত্যতা পান।

এ ঘটনায় রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারের অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, ডিসপেন্সিং ইউনিট (ডিজিটাল মিটার মেশিন) সিলগালা করেন বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা।

শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ ও জেসিনা মুর্শীদ জানান, জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ এবং তা কার্যকরের নির্দেশ ঘোষণার পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী সরেজমিন যশোরের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প তদারকি করছেন।‌ সে সময় রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারে তেল বিক্রিতে তারা চুরির বিষয়টি দেখতে পান। এরপর সোমবার সকালে বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখকে বিষয়টি অবহিত করেন। তৎক্ষণাৎ বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সরেজমিনে রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওই পেট্রোল পাম্পে ডিজিটাল মিটার মেশিনে প্রতি ১০ লিটার অকটেনে ১৫০ মিলি, প্রতি ১০ লিটার পেট্রোলে ৬০ মিলি কম প্রদান এবং প্রতি ১০ লিটার ডিজেল বিক্রিতে এক হাজার ২০ মিলি কম দিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার সত্যতা পাওয়া যায়।

প্রতারণার দায়ে ওই পেট্রোল পাম্পের অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, ডিসপেন্সিং ডিজিটাল ইউনিট (মেশিন) সিলগালা করেন বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা। এ সময় জেলা বিএসটিআইয়ের ইন্সপেক্টর মো. রাকিব ইসলাম এবং ফিল্ড অফিসার খালেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী আসলাম শেখ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানানোর পর তাদের সঙ্গে নিয়ে রজনীগন্ধা ফিলিং সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই পাম্পের ডিজিটাল তেল বিক্রির মিটার মেশিনে ত্রুটি পাওয়া যায় এবং প্রতারণার সত্যতা পাওয়ায় ওই পাম্পের তিনটি মেশিন সিলগালা করা হয়েছে।