ফেনীর দাগনভূঞায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জামায়াতের নেতারা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দাগনভূঞার হজরত মাইজ্জা হুজুর (রহ.)-এর মাজার ও কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন কমিটির নেতা আবু নাসের ও অলি আহমদ এ হামলার পেছনে স্থানীয় জামায়াত শিবিরকে দায়ী করেন।
তারা অভিযোগ করেন, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হজরত মাইজ্জা হুজুর (রহ.) এর মাজার শরিফে জশনে জুলুসে যোগ দেওয়ার জন্য সকাল থেকে মিছিল নিয়ে মানুষজন আসতে শুরু করেন। এ রকম একটি মিছিলে অতর্কিত হামলা করেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এতে মুসল্লিরা দ্বিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন। এ সময় অনন্ত ২০ জন আহন হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা।
জশনে জুলুস উদযাপন কমিটির নেতা মাওলানা হাসনাইন আহমদ আল কাদেরী ও মাওলানা নুর হোসাইন আল হাসানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের সুন্নি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে এবং অনেকের মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেন।’
তবে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে উপজেলা জামায়াতের আমির সালাহ উদ্দিন বলেন, হঠাৎ করে হামলার ঘটনা ঘটলে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ মিথ্যা।
দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাসেল মিয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউএনও নিবেদিতা চাকমা বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ফেনী জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আল্লামা এমএ মনসুর মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহি উদ্দিন। তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।