কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে নেওয়ার কথা বলে সরকারি বরাদ্দের সিমেন্ট, বালু ও টিন মিয়ানমারের পাচারের অভিযোগে এক ইউপি সদস্যসহ ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলা ট্রিবিউনে ‘টেকনাফে সরকারি বরাদ্দ মালামাল মিয়ানমারে পাচার’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। এরপর জেলা-উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে তৎপর হয়।
ওসি বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অফিস সহকারী বাদী হয়ে বরখাস্ত করা বিচকর্মী আশিকুর রহমান এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নারী ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তারকে এজাহারভুক্ত করে এবং আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নথিপত্র জালিয়াতি এবং মিয়ানমারে পণ্য পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের নথিপত্র জালিয়াতি করে একটি চক্র মিয়ানমারে সিমেন্ট-টিন পাচার করেছে। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
‘এ ছাড়া দীর্ঘ দিন চোরাচালানে জড়িত সেভেন স্টার নামে একটি চক্রের নাম পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে নেওয়ার কথা বলে সরকারি বরাদ্দের সিমেন্ট, বালু ও টিনভর্তি একটি ট্রলার মিয়ানমারে নিয়ে গেছে বাংলাদেশি কয়েকজন পাচারকারী। ওই ট্রলারে তিন জন মাঝিমাল্লা রয়েছেন। বুধবার বিকালে উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে টিআর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দের এসব সিমেন্ট, বালু ও টিন ছাড় নেওয়া হয়। ওইদিন বিকালে এগুলো ট্রলারে তুলে সেন্টমার্টিনে নেওয়ার কথা বললেও বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে পৌঁছায়নি বলে জানায় ট্রলার মালিক সমিতি। অবশেষে এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে একটি মামলা দায়ের করলো উপজেলা প্রশাসন।