মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলা

সাক্ষ্য দিতে না আসায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সমন জারি

মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সপ্তম দিনে সাক্ষীর শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার (৬ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও ঢাকা মেডিক্যালের দুই চিকিৎসক আদালতে হাজির না হওয়ায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। এর আগেও দুদিন ওই দুই চিকিৎসক আদালতে হাজির হননি। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (৭ মে) আবারও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে এ সমন জারি করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে এ মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিকে কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু মামলার ফরেনসিক বিভাগের দুই চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ আরা ও সহকারী অধ্যাপক দেবিকা উপস্থিত না থাকায় শুনানি পিছিয়ে যায়। এ জন্য আদালত তাদের প্রতি সমন ইস্যু করেছেন।’ তিনি আশা করেন বুধবার সাক্ষী দুই চিকিৎসক আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করবেন।

মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।

এ মামলায় ১৩ এপ্রিল পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১ মার্চ শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় হেলিকপ্টারে মরদেহ মাগুরায় আনা হয়। জানাজার পর উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় চার জনকে আসামি করা হয়। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে তারা সবাই।