চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমনের ১১ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৪৫ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তারের নামে থাকা আরও এক কোটি ৮৯ লাখ টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্পেশাল জজ হাসানুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চসিকের সাবেক জিয়াউল হক সুমন এবং তার স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদক কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদের করা আবেদনে বলা হয়, জিয়াউল হক সুমন অসৎ উপায়ে, জাল দলিল এবং ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলেন। এসব সম্পদের উৎস সম্পর্কে তিনি কোনও বৈধ প্রমাণ দিতে পারেননি। ফলে রাষ্ট্রের অর্থ লোপাট ও দুর্নীতির অভিযোগে তার সম্পদ ক্রোকের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়।
আবেদনে বলা হয়, সুমনের নামে হালিশহর এলাকায় ৩৪ লাখ ৩২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ, দক্ষিণ হালিশহরে ১২ লাখ ৫১ হাজার, মধ্য হালিশহরে ২৯ লাখ ৯০ হাজার, দক্ষিণ পতেঙ্গায় ১৭ লাখ ৫১ হাজার, একই এলাকায় আরও ১৭ লাখ ১৬ হাজার, কক্সবাজার জেলা সদরে ৬৪ লাখ ১৩ হাজারসহ চট্টগ্রামে মোট ২০ জায়গায় ৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে।
সুমনের পাশাপাশি তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তারের নামেও রয়েছে বিপুল সম্পদ। স্ত্রীর নামে পতেঙ্গা ও হালিশহরে আরও এক কোটি ৮৯ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। সেগুলো ক্রোকের জন্য আদালত সূত্র জানিয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে এলাকায় নেই জিয়াউল হক সুমন।