যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণকারী ২ জন কারাগারে

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেক দুর্নীতি মামলার আত্মসমর্পণকারী গাজী নুর ইসলাম ও আশরাফুল আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।

গাজী নুর ইসলাম শহরের পোস্টঅফিসপাড়ার বাসিন্দা ও আশরাফুল আলম শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেক ঘষামাজা করে পৌনে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়।

২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত চেক দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

অন্য আসামিরা হলেন– যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্ত হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, বড়বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডেসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ মামলার চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে চার্জশিট গ্রহণ ও অভিযুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এ মামলার আসামি গাজী নুর ইসলাম ও আশরাফুল আলম দীর্ঘদিন পলাতক থেকে গ্রেফতার এড়াতে মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।