কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু

কুমিল্লায় পৃথক দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একটি কুমিল্লার লাকসামে অপরটি চান্দিনা উপজেলায়। তাদের একজন শিক্ষক অপরজন শ্রমিক।

জানা গেছে, জেলার লাকসামে রবিবার (১৮ মে) দুপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাফেজ মো. জাকির হোসেন (৩৫) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষক মারা গেছেন। ওই শিক্ষক উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে। তিনি রামপুর দারুসসুন্নাত দ্বীনিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং হেফজ্ বিভাগে শিক্ষকতা করতেন।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে হাফেজ মো. জাকির হোসেন বাড়ির পাশে একটি গাছের ডাল কাটছিলেন। ওই গাছের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে একটি বিদ্যুতের লাইন। হঠাৎ ওই লাইনের তারের সঙ্গে কাটা ডালটি লাগলে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মৃত হাফেজ জাকির তিন সন্তানের জনক।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হাফেজ মো. জাকির হোসেনঅপরদিকে, কুমিল্লার চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নাঈমুল ইসলাম নাঈম (২৫) নামে এক নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলা সদরের চান্দিনা মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

মৃত নাঈম গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চান্দিনার রারিরচর গ্রামে ভাড়ায় বসবাস করে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন।

নির্মাণকাজের ঠিকাদার খোকন ভূঁইয়া বলেন, ‘রারিরচর এলাকার মহিলা কলেজ সংলগ্ন শাহপরান নামে এক ব্যক্তির ভবনের নির্মাণ কাজ চলছিল। রবিবার দুপুরে তৃতীয় তলার ছাদের রড ফেলার সময় লম্বা রড পল্লী বিদ্যুতের খোলা তারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নাঈম। তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের চাচা, খালু ও বড় ভাইও আমার সঙ্গে কাজ করেন। নাঈমের মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনরা।’

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই নির্মাণশ্রমিক নাঈমুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।’