ভারতের ত্রিপুরায় কারাভোগ শেষে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ফিরলেন ১৪ জন

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে আটক ১৪ বাংলাদেশি নাগরিককে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার সহকারি হাই কমিশন অফিসের মধ্যস্থতায় তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

আখাউড়া সীমান্তে তাদের গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা। এ সময় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়।

ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, কাজের জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে কিংবা সীমান্তের কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন তারা। পরে সেখানে কারাভোগ শেষে তাদের নেওয়া হয় ত্রিপুরার নরসিংহঘর ডিটেনশন সেন্টারে। পরে বাংলাদেশি সহকারী হাইকমিশন অফিসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।

ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরিফ জানান, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তিরা। পরবর্তী সময়ে সেখানে কারা ভোগের পর তাদের নিজ দেশে পাঠানো হয়। আরও ৩৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ত্রিপুরা নরসিংহঘর ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছে। তাদেরও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

এ সময় আখাউড়া সীমান্তে থাকা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ডেপুটি ম্যানেজার শায়েলা শারমিন জানান, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে ওই ১৪ জনের প্রত্যেককে নগদ ৩ হাজার টাকা এবং শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে, আখাউড়ায় দুই দেশের সীমান্তের শূন্য রেখায় ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের গ্রহণ করেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিএম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার, বিজিবি স্থলবন্দরের ক্যাম্প কমান্ডার আনোয়ার হোসেন। এ সময় তাদের বিদায় জানান, ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তা ওমর শরিফ।