গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। এই বন্দর দেশের অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। জনগণকে সঠিক তথ্য জানিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে দেশের প্রশ্নে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি আরও শক্তিশালী হবে।’
শুক্রবার (২৭ জুন) শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে একটি সমন্বিত ও কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা যেতে পারে, যা বন্দরের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগে সব অংশিজন যেমন– বন্দর কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনগণসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। এতে প্রস্তাবিত পদক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং সুবিধা-অসুবিধাগুলো সবার সামনে উন্মোচিত হবে।
‘বন্দরের সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণের টাকায় হয়েছে। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে কেন, কার স্বার্থে, কী স্বার্থে বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় দেওয়া হবে। বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন ও প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে এটা সত্য। কিন্তু জনগণের মতামত ছাড়া চাপিয়ে দেওয়া পূর্বের সংস্কৃতিকে লালন করে, কারও মতামতকে তোয়াক্কা না করে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ কোনোভাবেই জনগণ মেনে নেবে না।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন– বৈশাখী টিভির ব্যুরো চিফ গোলাম মওলা মুরাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, দৈনিক আজাদীর সাবেক বার্তা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, নিউজগার্ডেনের সম্পাদক কামরুল হুদা ও গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমি প্রমুখ।