চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের কথা স্মরণ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আপনারা সবাই রাজপথে নেমে এসেছিলেন। আমরা একসঙ্গে ওই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী ব্যবস্থা বিলোপের জন্য এক দফা ঘোষণা করেছিলাম। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও সেই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা রয়ে গেছে। মাফিয়াতন্ত্র, সেই সন্ত্রাস, সেই দখলদারিত্ব কিন্তু রয়ে গেছে।’
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে ‘জুলাই পদযাত্রা’ নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছে জেলা শহরের ঘোষপাড়ায় অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম এই সমন্বয়কারী উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমাদের এই লড়াই শেষ হয়নি। সেই লড়াই চলমান রাখার জন্য, নতুন দেশ গঠনের জন্য আমরা আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি। যে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, সেই দল এনসিপি।’ দেশের উন্নয়ন এবং গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি এনসিপিকে সমর্থন দেওয়ার অনুরোধ জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কুড়িগ্রাম মানে তিস্তার পানি চুক্তির যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের প্রতিচ্ছবি। কুড়িগ্রাম মানে মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবির অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া, কুড়িগ্রাম মানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া আমার ভাইয়েরা। কুড়িগ্রাম সব সময় লড়াই করলেও অবহেলিত হয়েছে। উন্নয়ন মানে কেবল ঢাকার উন্নয়ন না। উন্নয়নের কথা শোনা গেলেও সেই উন্নয়ন সবার কাছে পৌঁছায় না। আগামীতে উন্নয়ন এমন হতে হবে যে উন্নয়ন কুড়িগ্রামেও সমানভাবে পৌঁছাবে।’
নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের আগে অস্থায়ী মঞ্চের এই পথসভায় বক্তব্য দেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
কুড়িগ্রাম শহরে প্রবেশের আগে জেলার রাজারহাট উপজেলায় পথসভায় অংশ নেন এনসিপি নেতৃবৃন্দ। পরে কুড়িগ্রাম শহরে পথসভা শেষে তারা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পথসভায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে শহর ত্যাগ করেন। সেখান থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।