নওগাঁর প্রত্যন্ত অঞ্চল সফর করলেন নাহিদ-সারজিসসহ এনসিপির নেতারা

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার কুজাইল বাজারে হঠাৎ সফর করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা। রবিবার (৬ জুলাই) সকাল ৭টায় মফস্বলের ওই বাজারে সফর করেন তারা। এ সময় তাদের পেয়ে খুশি হন স্থানীয় অনেকেই।

এদিকে, কুজাইল বাজারে সফর নিয়ে খোদ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে কিছু ছবি আপলোড করেন। এ ছাড়া এনসিপির ফেসবুক পেজ থেকেও কিছু ছবি আপলোড করা হয়। খুব সকালে বসা ঐতিহ্যবাহী এই বাজার ঘুরে দেখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীরা। বাজারের ব্যবসায়ী, দোকানিসহ আশপাশের এলাকার মানুষের সঙ্গে তারা এ সময় কুশল বিনিময় করেন।

নাহিদ ইসলামের সঙ্গে এলাকাবাসীর অন্তরঙ্গ আলোচনায় নতুন দিনের রাজনীতির প্রত্যাশা এবং স্থানীয় সমস্যাগুলো উঠে আসে। তিনি এলাকাবাসীর কাছ থেকে বেশ কিছু পরামর্শ গ্রহণ করেন।

কুজাইল বাজারে চায়ের দোকানে সারজিস আলম ও নাহিদ ইসলাম জানা যায়, দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে এনসিপি নেতৃবৃন্দ তারা দেশের সব জেলায় সফর করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার নওগাঁয় এসেছেন তারা। কিন্তু আজ কোনও সিডিউল ছাড়াই হঠাৎ মফস্বল এলাকার বাজারে তাদের আগমন। মূলত তাদের দলের প্রচারণা ও জনগণের কথা শুনতে এই সফর। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা অনিক রায়ের বন্ধু সামিউল আলম তুষারের সঙ্গে দেখা করাও তাদের একটা উদ্দেশ্য ছিল। তুষারের বাসায় সকালের নাশতা করেন তারা। এর আগে কুজাইল বাজার ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় বেড়ে যায়। কেউ কেউ তাদের সঙ্গে ছবি তুলতে পেরে চরম খুশি, আবার কেউ সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন।

কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম বাজারে উপস্থিত জনগণের মাঝে জুলাই আন্দোলনের বর্ণনা তুলে ধরেন এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলনামাসহ নানা অপরাধ ও অন্যায়ের বিবরণ তুলে ধরেন। সুযোগ বুঝে এলাকার জনগণও তাদের কাছে কুজাইল-আতাইকুলা ব্রিজসহ বিভিন্ন দাবি করে বসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদা দোলা, অনিক রায় ও নওগাঁ জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মুনিরা শারমিনসহ অন্যান্য নেতারা।

জানতে চাইলে সামিউল আলম তুষার বলেন, ‘এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা অনিক রায় আমার পূর্ব পরিচিত। রাজনৈতিকভাবে তার সঙ্গে আমার খুব সখ্যতা আছে। গতকাল নওগাঁয় তার সঙ্গে আমার কথা হয়। তারা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। বন্ধু হিসেবে আমার বাড়িতে আসার জন্য বলেছিলাম। তাদের সিডিউল ছিল না। তারপরও হঠাৎ করে আমাদের বাজার ও বাড়িতে তারা আসবেন এটা কল্পনা করতে পারিনি। তাও আবার রয়েছেন নাহিদ ও সারজিস আলম ভাইসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতা।’