হঠাৎ হাজার কোটি টাকার মালিক অটোরিকশাচালক সোহাগ!

গল্প নয় সত্যি! পটুয়াখালী শহরের এক অটোরিকশাচালক নিজের অজান্তেই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তবে তার সাম্রাজ্য টেকেনি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে রাজা বনে যাওয়ার আগেই তলব করে আবারও মাটিতে নামিয়ে এনেছে। এ ঘটনায় বিস্ময়ে বিমূঢ় হওয়ার পরপরেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তার কপালে জুটেছে কিছু গালমন্দ আর ভয়-ভীতি। অবশ্য এ ঘটনায় ওই অটোরিকশাচালক আগে পিছে কোনওভাবেই জড়িত ছিলেন না। হঠাৎই তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়ার কারণেই তিনি সবার নজরে আসেন। আর ভুলটা ছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষেরই। এই অটোরিকশাচালকের নাম সোহাগ ফকির।

অটোরিকশাচালক সোহাগ ফকির

জানা গেছে, সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ইউনিটের লোহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহাগ ফকির পেশায় অটোরিকশাচালক। বিমার টাকা উত্তোলনের জন্য গত বছরের ২৩ জুন জনতা ব্যাংক পুরান বাজার শাখায় ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে ০১০০০০১৮৭২০০০৫ নম্বরের একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। তার হিসাবে ১ হাজার ১১টাকা ৮৩ পয়সা জমা রয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জনতা ব্যাংকের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়ি ঘাট শাখা থেকে অনলাইনে ১০০ টাকা জমার একটি মেসেজ আসে। ওই মেসেজ পোস্টিং দিতে গিয়ে দেখা যায় তার হিসাবে ১০ হাজার ৪২ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার ৭৬ টাকা জমা হয়েছে!

পরের দিন মঙ্গলবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সোহাগকে খবর দেয় ব্যাংকে আসার জন্য। উপস্থিত হলে সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার হিসাবে কেউ টাকা পাঠানোর কথা আছে কিনা। তাকে কেউ টাকা পাঠানোর কথা নয় বললে সোহাগের তার চেক বই জমা রাখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সে যাতে তার হিসাবে আর লেনদেন করতে না পারে সেজন্য একটি লিখিত আবেদনে তার স্বাক্ষর নেয় ব্যাংক ব্যবস্থাপক।

পরে জানা গেছে, সফটওয়্যারের সমস্যাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করে মেসেজটি ঠিক করে ফেলা হয়েছে।

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, যান্ত্রিক ক্রটি অথবা সফটওয়্যারের ক্রটিজনিত কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই হিসাবে টাকার লেনদেন করা হয়নি। শুধু একটি টাকার ফিগারের মেসেজ আসছে।

এ বিষয়ে অটোচালক সোহাগ ফকির বলেন, হঠাৎ শুনি ব্যাংকের লোকজন কয় আমার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা হইছিলো। পরে আবার তা নিয়ে গ্যাছে। আমার চেক ম্যানেজার স্যারে লইয়া গ্যাছে।

/এআর/টিএন/