রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধে অংশ নেয়। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ ও মালিকপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ২০ শ্রমিক আহত হন।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজার ভবন ধসে ১ হাজার ১৩৮ শ্রমিক নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় আরও প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক। এরপর থেকেই বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিকরা এ দিনটি শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে।
আর এই দাবিতেই রবিবার সাভারের ধরেন্ডা এলাকার ড্রেসআপ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ রাখলে বেলা ১০টার দিকে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় রাজাশন এলাকায় হাইপয়েন্ট ও এন্টারনেট গার্মেন্টস এবং আইচানোয়াদ্দা এলাকার সুরমা গার্মেন্টেসেও একই কারণে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে দুপুর ১২টার দিকে ২৪ এপ্রিল কারখানা বন্ধের দাবিতে সাভার পৌর এলাকার উলাইল মহল্লায় প্রায় দশটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে শ্রমিকরা ফেরার পথে আল-মুসলিম পোশাক কারখানা খোলা পেয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে শিল্পপুলিশ শ্রমিকদের ধাওয়া দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে প্রায় ১০ শ্রমিক আহত হলে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, ২৪ এপ্রিল পোশাক শ্রমিকদের জন্য একটি ভয়াবহ দিন। এ দিনে সাভারে বহুতল ভবন ধসে শ্রমিকরা প্রিয়জন হারিয়েছেন। নিহত শ্রমিকদের স্মরণে দিনটিকে শোক দিবস ও সব কারখানা বন্ধের দাবি জানানো হলেও কারখানা চালু রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২৪ এপ্রিল কারখানা বন্ধের দাবিতে সাভারের বেশ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
/এসএনএইচ/এএইচ/