নিষেধাজ্ঞা ভেঙে মা ইলিশ শিকারে ‘বাধ্য হচ্ছে’ জেলেরা

ইলিশ মাছমা ইলিশ রক্ষায় বরিশালের নদীগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। আবার এই অভিযানের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরাও চলছে। স্থানীয় জেলে সমিতির ভাষ্য, একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছেন জেলেরা। কারণ, নিষেধাজ্ঞা শুরুর সাত দিন পার হলেও এখনও সরকারের বরাদ্দকৃত খাদ্য সহায়তার চাল পায়নি জেলেরা।

বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট জেলের সংখ্যা ৭৩ হাজার ৫০০। এর মধ্যে ইলিশ শিকারে যুক্ত ৪৩ হাজার ৬৪৭ জন। মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় এদের সবাই ২০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শুরুর সাত দিন পার হলেও এখনও জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ হয়নি। আবার অনেক জেলে কার্ড পাননি।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর গত এক সপ্তাহে বরিশালে ১৪৬ জেলেকে জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। জব্দ করা হয়েছে ১৫ লাখ ৩১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল।

বুধবার কীর্তনখোলা ও আড়িয়াল খা নদ-নদীর তীরবর্তী জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, জেলেদের একাংশ নৌকা মেরামত করছেন। সদর উপজেলার হবিনগরের জেলে পল্লীতে দেখা যায়, গোটা এলাকায় পুরুষ নেই বললেই চলে। অসুস্থ্য শিশুকে বুকে ধরে সুফিয়া খাতুন নামের এক নারী অভিযোগ করেন, ‘আগে অভিযান চলতো নদীতে। এখন চালানো হচ্ছে আমাদের ঘরে। আমাদের পুরুষরা নদীতে জাল ফেলে না; জাল ঘরে রাখা। তারপরও অভিযানের নামে ঘরে ঢুকে জাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গ্রেফতারের ভয়ে পুরুষরা ঘর ছেড়ে চলে গেছে।’

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, ‘খাদ্য সহায়তা না পেয়ে নিষেধাজ্ঞার পরও জেল-জরিমানার কথা ভুলে জেলেরা বাধ্য হয়ে নদীতে মাছ ধরতে নামছে। চাল বিতরণ না হলে ইলিশ শিকার করতে নদীতে নামা জেলের সংখ্যা দিনদিন আরও বাড়বে।’

বরিশাল মৎস অধিদফতরের মৎস কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় যা করা দরকার, করা হচ্ছে। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল এসে পৌছেঁছে; দু-এক দিনের বিতরণ করা হবে।’

/এআরএল/

আরও পড়ুন: 

পিএসএল-এ একই দলে সাকিব-তামিম